কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

কাতার বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ মদ

 

আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে মদও নিষিদ্ধ। বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামে মদ কেনা বেচা, পান করা নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

কিছু ম্যাচের ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটবে, খেলা শুরুর আগে ও খেলা শেষে স্টেডিয়ামের বাইরে বিয়ার বিক্রি করা যাবে বটে, তবে গ্যালারিতে বসে মদ পানে নিষেধাজ্ঞা থাকবে ঠিকই।

আয়োজক সূত্র ধরে এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম মুসলিম অধ্যুষিত দেশে হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। তাতে নিয়মের কড়াকড়ি আছে বেশ। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়লে হতে পারে সাত বছরের জেল। সমকামী সমর্থনে কোনো চিহ্ন প্রদর্শনেও আছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। জানা গিয়েছিল ই-সিগারেট নিয়ে ঢুকলেও থাকবে শাস্তি। এবার জানা গেল মদের উপস্থিতিও থাকছে না বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোয়।

মদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি। তবে আয়োজকদের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কাতার বিশ্বকাপে মোটাদাগে নিষিদ্ধই থাকছে মদ। বললেন, ‘এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিষয়টি। তবে বর্তমানে মত হচ্ছে, স্টেডিয়ামের বাইরে খেলা শুরু আর শেষের আগে হয়তো বিয়ার বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে। স্টেডিয়ামের ভেতর অবশ্য কাউকে অ্যালকোহল নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’

বিশ্বকাপ মানে ফুটবলের মহাযুদ্ধ যেমন, তেমনি বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি দর্শকের মিলনমেলাও এই এই ফুটবল বিশ্বকাপ। সেখানে মদের কেনাবেচা নিয়মিত দৃশ্যই। তবে কাতার বিশ্বকাপে সেই দৃশ্যের দেখা হরহামেশাই মিলবে না।

সীমিত পর্যায়ে অবশ্য বেচাকেনা হবে। কাতারে জনসম্মুখে মদ পান নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বকাপ উপলক্ষে সেই নিয়মে কিছুটা শৈথিল্য দেখানো হবে। রাজধানী দোহার আল বিদ্দা পার্কে অবস্থিত ফিফার মূল ফ্যান জোনে কিছু জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে, সেখানে চলবে বিয়ার কেনাবেচা। এছাড়াও দোহা গলফ ক্লাবের অব্যবহৃত এক অংশে ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শকের জন্য অ্যালকোহল বেচা হবে।

ফুটবল বিশ্বকাপে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলও নিষিদ্ধ করেছিল অ্যালকোহল। তবে ফিফার চাপে সে নিষেধাজ্ঞা শেষমেশ উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন আয়োজকরা।

পাঠকের মতামত: